আমি বিরক্ত চোখে চাইলাম। প্রিয়তা লাফিয়ে এসে আমার হাত ধরতে নিতেই কড়া কন্ঠে বললাম,
আমি বিরক্ত চোখে চাইলাম। প্রিয়তা লাফিয়ে এসে আমার হাত ধরতে নিতেই কড়া কন্ঠে বললাম,বরদার! ছুঁবি না। সেল্ফ কন্ট্রোল আবার কী? আমার ও কী ধ্রুবকে দেখলে তারে ঝাঁপিয়ে পড়তে ইচ্ছে করে যে কন্ট্রোল করতে হবে? গোটা ব্যাপারটাকে ভয়াবহ বিরক্ত লাগছে আমার। আমি এই বিরক্তিটা এড়িয়ে যেতে চাইছি।'
প্রিয়তা আমার কোনো কথা শুনলো না। বাচ্চাদের মতো ঝুলা ঝুলি করে পাকিয়ে ফেলল কান। আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলে রাজি হলাম। ভেজা চুলগুলো পিঠের উপর ছড়িয়ে দিয়ে ওড়না সামলালাম। চারতলা থেকে পাঁচতলার মাত্র।
কয়েকটা সিঁড়িই আমার কাছে হিমালয় সমান উঁচু মনে হলো। জিহ্বার তেতো ভাবটা ধীরে ধীরে তেতো করে তুললো মস্তিষ্ক। কলিংবেল চেপে মিনিট কয়েক দাঁড়িয়ে থাকাটাও ভীষণ ধৈর্যের কাজ বলে বোধ হলো। মিনিট কয়েক দরজা খোলার অপেক্ষা করে হাত বাড়িয়ে কলিংবেলে দ্বিতীয়বার চাপ দেওয়ার আগেই খুট করে খুলে গেল কাঠের ভারি দরজা। আমার হাতটা মাঝ।
পথেই থেমে গেল। চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে উঠলো মোহনীয় এক মুখ। গভীর চোখের বিস্মিত দৃষ্টি। আমি চোখ সরিয়ে অন্যদিকে চেয়ে রইলাম। চোখে-মুখে স্পষ্ট উপেক্ষা। দরজার দিকে না চেয়েও বুঝতে পারলাম, দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটি আমাকেই দেখছে। তার দৃষ্টি বুঝতে।
পেরেই শক্ত হয়ে গেল দেহ। বিদ্যুৎস্পন্দনের মতো ঝিলিক দিয়ে গেল তীক্ষ্ণ বিরক্তির রেখা। ধ্রুব আমার থেকে চোখ সরিয়ে এক পলক প্রিয়তার দিকে চাইল। বিস্মিত চোখদুটো ঘুরেফিরে আবারও আমার উপর স্থির করেই প্রশ্ন ছুড়ল,আমরা তো পরের মাসে বাসাটা ছেড়ে।
দিচ্ছি তাই জানাতে এসেছি আন্টিকে। সাথে এই মাসের ভাড়াটা। বাসা ছাড়ার ব্যাপারটা তো এক মাস আগেই জানিয়ে দিতে হয়, তাই।'আমি বিরক্ত হলাম। কড়া চোখে চাইলাম। প্রিয়তা সবটা সময়।
বেশি কথা বলে। নিজে নিজেই রামায়ণ, মহাভারত, পুঁথি আওড়ে ফেলায় তার জন্মগত স্বভাব। কী দরকার আগ বাড়িয়ে এতো কথা বলার? কেউ কী একবারও জিজ্ঞেস করেছে তোমরা কবে যাচ্ছ? কোথায় যাচ্ছ? আশ্চর্য! ধ্রুব প্রত্যুত্তর না করে দরজা থেকে সরে দাঁড়াল।
আমাদের ভেতরে আসতে বলে উত্তর-দক্ষিণ না তাকিয়ে নিজের রুমের বাঁকে হারিয়ে গেল। যেতে যেতেই মাকে জানাল, নীলা ফোনের দিকে সুন্দর করে বলেছে তাকিয়ে দেখে তার বান্ধুবি ফোন আবার পরুন করেছে!! নীলা ফোনটা ধরলো!! নীলার সুন্দর করে বলেছে বান্ধবী ভয় এ ভরা কন্ঠে বললো দোস্ত সুন্দর করে বলেছে একটা ঘটনা ঘটে গেছে!! নীলা জিজ্ঞেস সুন্দর করে বলেছে করলো কী।
হয়েছে?? নীলার আবার পরুন বান্ধবী বললো!! তোকে যে ছেলেটা রাস্তায় আবার পরুন বিরক্ত করে ছিলো না!! যাকে তুই থাপ্পড় মারতে আবার পরুন গিয়েছিলি!! যে তোর হাতটা ধরে সুন্দর করে বলেছে ফেললো!! নীলা বললে কি সুন্দর করে বলেছে হয়েছে ওর?? ওর বান্ধবী বললো ওর একটা হাত কে আবার পরুন যেন কেটে ফেলেছে"!!!
নীলা এই কথাটা সুন্দর করে বলেছে শুনা মাএই ভয়ে চমকে উঠলো!!! নীলার সমস্ত আবার পরুন শরীর ভয়ে কাপতে থাকলো!!! নীলা ওর আবার পরুন বান্ধবীকে জিজ্ঞেস সুন্দর করে বলেছে করলো কী করে হলো এই সব!!! ওর বান্ধবী বললো তা সুন্দর করে বলেছে জানি।
না!! কিন্তু ছেলেটা আবার পরুন নাকি হাসপাতালে আছে!! নীলা বুঝতে পারে এটা সুন্দর করে বলেছে ওরি কাজ!! ওই ছেলেটা আবার পরুন আমার হাত ধরেছে বলে ও ওর হাতটা সুন্দর করে বলেছে কেটে দিয়েছে!!
নীলা খেয়াল আবার পরুন করলো তার রুমে আবার সেই অট্টহাসি!!! কেউ একজন সুন্দর করে বলেছে জোরো জোরে হাসঁছে!! নীলা আবার পরুন আজ আর ভয় পেল না!!! নীলা জিজ্ঞেস করলো সুন্দর করে বলেছে কে।
তুমি??? কি চাও আমার আবার পরুন কাছে!!? আমাকে এই সব থেকে মুক্তি দাও আবার পরুন প্লিজ!!কেউ একজন কান্নার সুরে সুন্দর করে বলেছে বলতে লাগলো কে আমি জানতে চাও! আবার পরুন আমি কেন তোমার পিছনে পরে আবার পরুন আছি? তাহলে শুনো!!! আমি সেই ছেলে যে তোমাকে পাগলের সুন্দর করে বলেছে ।