চারিদিকে আবার পরুন ফুরফুরে হাওয়া বইছে - Video download

Header Ads

চারিদিকে আবার পরুন ফুরফুরে হাওয়া বইছে



 চারিদিকে আবার পরুন ফুরফুরে হাওয়া বইছে। আশেপাশে কিছু মানুষের আনাগোনাও চোখে পরছে। এরই মাঝে ভালো করে মন দিয়ে পরুন পাশাপাশি হেটে চলেছে সাদ আর নিয়াশা। নিয়াশার চুলগুলো খোলা, বাতাস এসে আবার পরুন নিয়াশার চুলে ঝাপটা দিচ্ছে। 


নিয়াশা তা খুব মনোযোগ সহকারে উপভোগ করছে। সাদ ভাবলেশহীন, ভালো করে মন দিয়ে পরুন সে হেঁটে যাচ্ছে কোনো শব্দ ছাড়াই। কেন যেনো ওর ভালো লাগছে না। ভালো লাগার ভালো করে মন দিয়ে পরুন ব্যাপারে।


নিয়াশাকে সম্মতি দিলেও মন থেকে তার সত্যিই ভালো লাগছে না। আবার পরুন কিন্তু নিয়াশার কাছে সেটা সে প্রকাশ করছে না। কিছুক্ষণ হাঁটার পর নিয়াশা প্রশ্ন করলো ভালো করে মন দিয়ে পরুন।


আচ্ছা,আবার পরুন আমাদের মধ্যে যে এই একটা সম্পর্ক, ভালো বন্ডিং, এ সম্পর্কের নাম কি?সম্পর্কের আবার নাম হয় নাকি? আবার পরুন হয় তো। নাম হয়, সব সম্পর্কেরই নাম হয়।


ভালো করে মন দিয়ে পরুন  সাদ অন্যমনস্ক হয়ে বললো তুমি যা মনে করো, তাই। আবার পরুন

সাদের কথায় নিয়াশার ঠোঁটে চওড়া হাসির রেশ দেখা যায়। এমন আবার পরুন সময় একটা ছোট্র মেয়ে সাদের শার্ট টেনে ধরলো। ভালো করে মন দিয়ে পরুন সাদ সামান্য অবাক হয়ে আবার পরুন মেয়েটির দিকে।


তাকালো। একটা আট কিংবা নয় বছরের মেয়ে, ফুল হাতে ওর দিকে আবার পরুন তাকিয়ে আছে। সাদ মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলোকি?একটা ফুল নেন ভাই।ফুল দিয়ে ভালো করে মন দিয়ে পরুন আমি কি করবো?মেয়েটি নিয়াশার দিকে তাকালো একবার। এরপর আবারও সাদের ভালো করে মন দিয়ে পরুন দিকে তাকিয়ে বললো।


ফুল দিয়া মাইনষে ভালো করে মন দিয়ে পরুন কি করে, ভাবীরে দিবেন। নেন ভাই, একটা ফুল নেন।নিয়াশা উচ্ছ্বসিত হয়ে ভালো করে মন দিয়ে পরুন  তাকিয়ে আছে সাদের দিকে। ভাবী ডাক শোনার পর সাদ কি বলে সেটা জানার অপেক্ষায় সে। ভালো করে মন দিয়ে পরুন  সাদ হাসলো। মেয়েটিকে বললো।


ফুলের দাম কত?ভালো করে মন দিয়ে পরুন  একটা ৩০ টেকা। মেয়েটি আবার পরুন ঝটপট উত্তর দিলো। ঠিক আছে। একটা ফুল ওর হাতে দাও। নিয়াশাকে দেখিয়ে বললো সাদ। ভালো করে মন দিয়ে পরুন  কি ফুল দিমু? গোলাপ নাকি অন্য ফুল? সাদ নিয়াশার দিকে তাকিয়ে বললোআবার পরুন।


তোমার আবার পরুন পছন্দমতো একটা ফুল নিয়ে নাও তো বিউটি। নিয়াশা হাসিমুখে আবার পরুন অনেক বেছে একটা লাল গোলাপ নিলো। ওর মুখ থেকে অগণিত হাসি ঝরে পড়ছে। ভালো করে মন দিয়ে পরুন।


সাদ ওয়ালেট থেকে একটা একশত টাকার নোট বের করে মেয়েটির আবার পরুন হাতে দিলো। মেয়েটি মলিন মুখে বললো আবার পরুন ভাংতি নাই তো। সাদ মেয়েটির মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললো ভাংতি আবার পরুন লাগবেনা। পুরোটা তোমার। 


মেয়েটি একটি আবার পরুন প্রানখোলা হাসি হেসে দৌড়ে চলে গেলো। 

বাসার কাছাকাছি আবার পরুন আসতেই নিয়াশা বললো আচ্ছা,আবার পরুন মেয়েটি আবার পরুন যখন আমায় ভাবী বললো, তখন তুমি ওকে কিছু বললেনা যে।


কি বলবো? নিয়াশা সামান্য আমতাআমতা  ভালো করে মন দিয়ে পরুন করে বললো নাহ মানে, আমিতো হিসেবে ভাবী নয় তাইনা। সাদ সরু চোখে তাকালো ভালো করে মন দিয়ে পরুন  নিয়াশার দিকে। এরপর সামান্য হেসে বললো মেয়েটি যদি তোমাকে ভাবী আবার পরুন ডেকে 


সামান্য পরিমাণেও আনন্দ পায়, তাহলে ক্ষতি কি। ডাকুক না ও ওর মতো করে। ওর ডাকা না ডাকায় তো আমাদের কোনো অসুবিধা হচ্ছেনা। আবার পরুন নিয়াশা আর কিছু বললোনা। সে গাড়ি থেকে নেমে সাদের পিছু পিছু বাসায় ঢুকলো। আবার পরুন আজ সে অনেক খুশি। সন্ধ্যের আবার পরুন পরপরই বই এ মন দিয়েছে।


আশা। অনেক পড়া জমে আছে। অনেক রাত অব্দি পড়তে হবে আজ। তাতে যদি ভালো করে মন দিয়ে পরুন পড়াটা কিছুটা কভার করা যায়। পড়ায় যাতে কোনোরুপ বাধা না আসে সেজন্য দরজাটা ভালো করে মন দিয়ে পরুন ভেতর থেকে লাগিয়ে নিয়েছে সে।আবার পরুন।


আনুমানিক রাত আট টা। এমন সময় দরজায় টুকা পরলো। হটাৎ পড়ায়  আবার পরুন বিঘ্ন ঘটায় কপালে কিছুটা বিরক্তির ভাজ পরলো। তীক্ষ্ণ কন্ঠে বললো কে? দরজাটা খোল আশা,ভালো করে মন দিয়ে পরুন  আমি নিয়াশা। না চাইতেও ভালো করে মন দিয়ে পরুন   বই বন্ধ করে উঠতে হলো তাকে। দরজাটা খুলে দিয়ে আবারও।


টেবিলের সামনে আবার পরুন গিয়ে বসলো সে। নিয়াশা ঘরে ঢুকে ধপ করে বিছানায় শুয়ে পরলো। প্রাণখোলা হাসিতে মেতে উঠলো ভালো করে মন দিয়ে পরুন সে। আশা মুচকি হেসে বললো এতো খুশি দেখাচ্ছে যে, কোনো বিশেষ সংবাদ আবার পরুন আছে নাকি নিয়াশা খিলখিল করে আবার পরুন হাসতে হাসতে বললো।


আছে রে বনু আছে। এমন একটা খবর আছে, যেটা শুনলে তুই হিংসেও আবার পরুন করতে পারিস। আশা আবারও হেসে বললো কারো খুশির খবরে এই আশা কখনো হিংসে করেনি আর করবেও না। নিয়াশা আধশোয়া হয়ে বললো আহ, রেগে আবার পরুন যাচ্ছিস নাকি। মজা করছিলাম। 


আমি আবার পরুন বুঝতে পেরেছি। বই খুলতে খুলতে বললো আশা। ভালো করে মন দিয়ে পরুন 

নিয়াশা হটাৎ করেই চিলের মতো থাবা মেরে আশার হাত থেকে বইটা কেড়ে নিলো। আশা ভ্রু বাকিয়ে বললো 

কি হলো এটা?আবার পরুন এখন পড়া বাদ দে তো। 


আগে শোন আজ কি কি হয়েছে। আশা কপাল বাকিয়ে বললো আবার পরুন তোমাদের আবার পরুন লাভস্টোরি শোনার মতো টাইম আমার কাছে নেই তো। আমার এখনো অনেক পড়া বাকি। নিয়াশা আবার পরুন  সামান্য বিরক্ত নিয়ে বললো তুই এতো নিরামিষ কেন রে আশা?


তোমরা আমিষ, তাই আমি নিরামিষ। মুচকি আবার পরুন  হেসে বললো আশা।তুই একটা খচ্চর। রাগে ফুসতে ফুসতে বলল নিয়াশা। আশা হাসলো, তবে কিছু বলল না আর। 


আবার পরুন টেবিলের উপর থাকা ফোনটা হটাৎ ই বেজে উঠলো। আশা ফোনটা হাতে নিতেই নিয়াশা বললো কে ফোন করেছে,আবার পরুন  তোর ভাই? নাহ, একটা আননোন নাম্বার। 


বুঝেছি, আবার পরুন গ্যারাকল। কথা বল, আমি গেলাম। ভালো করে মন দিয়ে পরুন  ফোন রিসিভ করে কানে ঠেকাতেই ভেসে আসলো সেই কন্ঠস্বর।হেই লেডি, কি করছিলে? আবার পরুন আমার ফোনের অপেক্ষায় ছিলে নিশ্চয় আশা হতাশ গলায় বললো।


আবারও আপনি?আবারও আমি মানে, অন্য কাউকে আশা করছিলে নাকি?এতো আবার পরুন বেশি কথা কেন বলেন। বিরক্ত হয়ে বললো আশা। কথা বলার জন্য মুখটা রয়েছে, তাই ভালো করে মন দিয়ে পরুন  বলছি। বাড়তি কথা রাখুন তো।


আবার পরুন আচ্ছা রাখলাম।কেন বার বার বিরক্ত করছেন আমায়?বিরক্ত না করলে আবার পরুন যে তুমি পটবে না। মানে কি, আমাকে পটাতে চান আপনি?অবশ্যই। ভালোবাস পেতে হলে আগে আবার পরুন  প্রেমিকাকে পটাতে হবে এটাই স্বাভাবিক ।।


এবার আবার পরুন বেশ রেগে গেলো আশা। ঝাঝালো কন্ঠে বললো এই ধরনের লো মেন্টালিটির মানুষকে আমি দুচোখে সহ্য করতে পারিনা। আপনি বরং আপনার মতো লো মেন্টালিটির আবার পরুন কোনো মেয়ের উপর এই থেরাপি গুলো এপ্লাই করুন। রেগে যাচ্ছো?আপনার।


কথার যেই ধরণ, তাতে রেগে যাওয়াটা কি স্বাভাবিক নয়?ভালো করে মন দিয়ে পরুন  হুটহাট রেগে যাওয়াটাও কিন্তু ভালোবাসার লক্ষন। 


 ধন্যবাদ পরার জন্য আমার নিউজ টা আবার পরবেন ধন্যবাদ সবাই 

Blogger দ্বারা পরিচালিত.